ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের ৮ম ম্যাচে আজকের দিনে মুখোমুখি হয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস। দলকে শক্তিশালী করে সানরাইজার্স এর তৃতীয় ম্যাচে একাদশে যোগ দিয়েছে কেন উইলিয়ামসন। আর গত ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও একাদশে নেই বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্বান্ত নিয়েছিলো রাজস্থান রয়্যালস ক্যাপ্টেন আজিঙ্গা রাহানে। ৪র্থ ওভারে আজিঙ্গা রাহানের সাথে ওপেন করতে আসা জশ বাটলারের বিদায়ের পথ দেখিয়ে দেন রশিদ খান। দলীয় ১৫ রানে বাটলারের বিদায়ের পর অধিনায়কের সঙ্গী হন সঞ্জু স্যামসন। দুজনে মিলে ৭৫ বলে গড়েন ১১৯ রানের পার্টনারশীপ। শাহবাজ নাদিমের করা ১৬ তম ওভারের ৫ম বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৯ বলে ব্যাক্তিগত ৭০ রানে মানিস পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ তুলে দেন ক্যাপ্টেন আজিঙ্গা রাহানে। আউট হওয়ার আগে দলীয় রান পৌঁছে দেন ১৩৪ রানে। অধিনায়কের বিদায়ের পরেও থেমে থাকেনি সঞ্জু স্যামসনের ব্যাট। তার ব্যাট হেসেছে পুরো ইনিংস জুড়ে। আর তাকে সঙ্গ দিয়েছেন গত আইপিএল এর সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় বেন স্টোকস। ইংলিশ অলরাউন্ডার এর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৯ বলে অপরাজিত ১৬ রান। আর সঞ্জু স্যামসন তুলে নেন আইপিএল ২০১৯ আসরের প্রথম সেঞ্চুরি। ইনিংস শেষ হওয়ার আগে ১০ টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৫ বলে করেন অপরাজিত ১০২ রান। সঞ্জু স্যামসনের আজকের ইনিংসটি ছিলো হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে তার সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ৪৯ রানের। অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে ও সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটে ও দুজনের পার্টনারশিপের উপর ভর করে রাজস্থান তুলে নয় ১৯৮ রানের বিশাল সংগ্রহ। হায়দ্রাবাদের হয়ে দুই ম্যাচের ক্যাপ্টেন ভুবনেশ্বর কুমার ছিলো আজকের দিনের সবচেয়ে খরুচে বোলার ৪ ওভার বল করে কোনো উইকেট না পেয়ে খরচ করেন ৫৫ রান।
১৯৯ রানের তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুন করেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে ম্যাচ ওপেন করতে আসে ইংলিশ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারেস্ট। প্রথম পাওয়ার প্লে তে কোনো উইকেট না হারিয়ে দুজনে মিলে তুলে নেয় ৬৯ রান। ওয়ার্নারের সাথে বেয়ারেস্ট এর পার্টনারশীপ হয় ১১০ রানের। ১০ম ওভারের ৪র্থ বলে বেন স্টোকস এর বাউন্সার বলে ধাওয়াল কুলকার্নির বলে ক্যাচ হয়ে আউট হওয়ার আগে ওয়ার্নার এর ব্যাক্তিগত রানসংখ্যা হয় ৬৯ রান। ৬৯ রান করতে ওয়ার্নার খেলেন মাত্র ৩৭ বল। ৬৯ রানের মধ্যে ছিলো ৯টি চার ও ২ টি ছক্কার মার। ওয়ার্নারের বিদায়ের পর বেশিক্ষন উইকেটে থাকতে পারেনি বেয়ারেস্ট। মাত্র ২৮ বলে ৬ টি চার ও ১ টি ছক্কায় করেন ৪৫ রান। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন খেলেন ১০ বলে ১৪ রানের একটি ছোট্ট ইনিংস। কিন্তু থেমে থাকেনি বিজয় শংকর এর ব্যাট তুলেছে ঝড়। শ্রেয়াস গোপালের বলে থাকে শংকর ঝড়। দলীয় ১৬৭ রানে ব্যাক্তিগত ১৫ বলে ৩৫ রানে বিদায় নেন শংকর। এর পরে বেশিক্ষন টিকতে পারেনি মানিস পান্ডে ব্যক্তিগত ১ রানেই বিদায় নেন তিনি।
ইউসুফ পাঠান ও রশিদ খানের ব্যাটে ভর করে তাড়া করে বাকি রান। ইউসুফ পাঠান ১২ বলে করেন ১৬ রান এবং রশিদ খান করেন ৮ বলে ১৫ রান। দুজনেই থাকেন অপরাজিত।
ফলাফল: সানরাইজার্স হায়াদ্রাবাদ ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ: ডেভিড ওয়ার্নার।