হা-রা অর্থ পাকস্থলি আর হাবিচু বা হিবাচি’র অর্থ হচ্ছে মাংশের ছোট টুকরা। অথাৎ ছোট মাংশের টুকরা বা সামান্য খাবার দিয়ে উদরপূর্তি। বারবার খান। কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যখনই খাবেন, অল্প খান। ক্ষুধা লাগলেই পেট ভরে খাওয়ার অভ্যাস যদি থাকে তাহলে সেটা এখনই বাদ দিয়ে দিন। ক্ষুধা লাগলে খান, কিন্তু কম খান। যতবার ক্ষুধা লাগবে ততবারই খান, কিন্তু কম খান। সেই আদিমকাল থেকে ফিট থাকার জন্য এই পন্থাই অবলম্বন করে বেশিরভাগ জাপানিজ। প্রথম দিকে হয়ত আপনার একটু কষ্ট হবে। কিন্তু ফলাফলের কথা মাথায় রেখে চালিয়ে যান। তিন চার দিনের মধ্যে আর কষ্ট মনে হবেনা। পরে দেখবেন একটা সময়ে চাইলেও আর পেট ভরে খেতে পারছেন না। কম খাওয়া অভ্যাস হয়ে যাবে।
এর সাথে জুড়ে দিন কয়েকটি খাবারের প্রতি অনাসক্তি। একান্তই ব্যক্তিগত আমার কিছু টেকনিক আছে। যেগুলো আপনাদের কাজে লাগতেও পারে।
গরুর মাংস খেতে পছন্দ করে না এমন বাঙালি খুজে পাওয়া মুশকিল। এই কাজটাই করতে হবে আপনার। কী? অসম্ভব মনে হচ্ছে?
গরুর মাংস ঠাণ্ডা হওয়া শুরু করলে চর্বির আস্তরণ পরতে থাকে। যেটা খেতে খুবই বিরক্তিকর। এই বিরক্তিটাই কাজে লাগাতে হবে। ধীরে ধীরে চেষ্টা করুন এটাকে অভক্তির পর্যায়ে নিয়ে যেতে। একটা সময় দেখবেন খুব বেশি গরুর মাংস চাইলেও খেতে পারছেন না।
এবার পালা পোলাও আর বিরিয়ানীর। যত বেশি এইসব খাবেন ততবেশি পানির পিপাসা হবে। চেষ্টা করুন দুই এক মগ পানি খাওয়ার মাঝখানেই খেয়ে নিতে। তাহলে খুব বেশি খেয়ে ফেলার মত ক্ষুধা আর আপনার পেটে থাকবে না।তেলতেলে যত খাবার আছে কমবেশি সবগুলোই অনেক লোভনীয়, তাই না?
খাবারে তেল দেখলেই আমার খাওয়ার অরুচি চলে আসে, আপনার আসে না? চেষ্টা করেই দেখুন। মানুষের পক্ষে অসম্ভব কোন কিছুই নেই।
কোথায় যেন পড়েছিলাম “দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে।”
আর খাওয়া শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস যে কতটা উপকারী ডায়েট কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে সেটা তো কমবেশি আমরা সবাই জানি।
যতগুলো টেকনিক বললাম সবগুলোই কিন্তু ওই প্রাচীন জাপানি পদ্ধতির লেজ ধরেই। মূলকথা হচ্ছে হা-রা হাবিচু। খান, তবে কম খান। যা ইচ্ছা খান, তবে কম খান।
ফলাফল আপনার মেদ ভূড়ি অনেকটাই আপনার নিয়ন্ত্রনে থাকবে। সুস্থ থাকার জন্য এইটুকু তো আমরা করতেই পারি, তাই নয় কি ?
সকলের সু-স্বাস্থ্য কামনা করছি।